কে এম শাহীনুর রহমানঃ
সাতক্ষীরার তালায় পাখিমারা বিলের টিআরএম প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় আঃ সালাম গণ-গ্রহন্থাগার হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাখিমারা বিল কমিটির সদস্য গোলদার আশরাফুল ইসলাম।
পাখিমারা বিল কমিটির সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ সানা, সদস্য ছফেদ আলী সরদার, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম, সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দার ফারুক হোসেন, উত্তরণ কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সানা সানা, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, রিপোর্টাস্ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রায়হান, উপজেলা প্রসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিঠু, সাংবাদিক গাজী জাহিদুর রহমান, সেলিম হায়দার, এম এ ফয়সাল, কে এম শাহীনুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সেকেন্দার আবু জাফর, জাহাঙ্গীর হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, নদী, খাল, বিল রক্ষা আন্দোলন কমিটি ও স্থানীয় জনগণের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারী ভাবে তালার পাখিমারা বিলের চারিধারে পেরিফেরিয়াল বাঁধ দিয়ে ১৫৬২ একর জমি হারি নিয়ে ২০১১-১২ অর্থ বছরে টিআরএম প্রকল্প চালু করা হয় যা ২০২১ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। প্রকল্প চালুর পর থেকে মাত্র ২ বছর ৮০ শতাংশ জমির মালিক হারির টাকা দিলেও পরবর্তী ৪ বছরের মধ্যে কোনো টাকা দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই অঞ্চল উপজেলার মধ্যে খুবই অনুন্নত কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই এলাকা প্লাবিত হয়। অধিকাংশ কৃষক পাখিমারা বিলে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘ ৬ বছর হারির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রী অভাবের তাড়নায় লেখা পড়া বন্ধ হতে বসেছে। সে কারণে হারির টাকা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, পাখিমারা বিলে টিআরএম চালুর কারণে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। তৈরী হয়েছে জীববৈচিত্র্যের অনুকূল পরিবেশ। পাখিমারা বিলের টিআরএম বন্ধ থাকায় আবারও কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। কপোতাক্ষ নদের সাথে পাখিমারা বিলের সংযোগ খাল পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়েছে, বন্ধ হয়েছে পানি উঠানামা।
ফলে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে অববাহিকার বালিয়া, তেঘরিয়া, সাতপাখিয়া, ডুমুরিয়া ও শুভাঙ্করকাটি গ্রামে পানি ঢুকছে। অনতিবিলম্বে কপোতাক্ষ অববাহিকায় টিআরএম চালু ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের ক্ষতি পূরণে হারির টাকা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানানো হয়।


















