শেখ মনিরুজ্জামান, কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রায় তথ্য গোপন করে কামিল স্তরে প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অত্র এলাকার একমাত্র এমপিও ভুক্ত কামিল ও পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে চলমান রয়েছে। কেন্দ্রটি খুলনা জেলা শহর হতে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিনে কয়রা সদর ইউনিয়নে অবস্থিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার ফাজিল পাশকৃত শিক্ষার্থীরা কামিল পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। উক্ত মাদরাসাটি ছাড়াও আরও তিনটি ফাজিল এমপিও ভুক্ত মাদরাসা রয়েছে। মাদরাসা গুলোর অবস্থান ও দুরত্ব কয়রা সিদ্দিকীয়া মাদরাসা ২ কিলোমিটারের মধ্যে কয়রা সদর ইউনিয়নে অবস্থিত। কালনা ফাজিল মাদরাসাটি উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসা হতে সোজা-সুজি তিন কিলোমিটার এবং রাস্তা বরাবর সাত কিলোমিটারে মধ্যে পার্শবর্তী মহারাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
এছাড়া ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদরাসাটি বার কিলোমিটারের মধ্যে বাগালী ইউনিয়নে অবস্থিত। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দুরত্ব সনদ প্রদান করেছেন।
উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরার অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, কালনা আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসার পক্ষ থেকে কামিল পর্যায়ে প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি পাওয়ার জন্য ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আবেদন করেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের অনুমতি পেলে শিক্ষার্থীর অভাবে আমার প্রতিষ্ঠানটি কামিল স্তর বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্শবর্তী প্রতিষ্ঠানটি কামিল স্তরে প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি না পায় সে জন্য কতৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর আব্দুর রশিদ এর সাথে একাধিক বার কথা বলার চেষ্ঠা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।