অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে মুরাদ হোসেন (২৮) হত্যার ঘটনায় ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ও হত্যাকারিরা গা ঢাকা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টা পর্যন্ত অভয়নগর থানায় কোন মামলা হয়নি। ঘটনার মোটিভ উদঘটন পূর্বক প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
নিহত মুরাদ হোসেনের পিতা সাহাবুল ইসলাম বলেন, তার ছেলেকে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। ওই চক্রটি কোন রাজনীতি করে না। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের ছত্র ছায়ায় থেকে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তিনি দ্রুত শাস্তির দাবি করেছেন।
জেলা পুলিশ বুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ইন্সিপেক্টর শেখ মোনায়েম ও সাব ইন্সিপেক্টর মিজানুর রহমান জানান, তারা মামলার মোটিভ উদঘটনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রকৃত আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মোটিভ উদঘটন করা সম্ভাব নয় বলে তারা জানান। তারা আশা করছেন দ্রত মোটিভ উদঘটন ও আসামী গেফতার করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনার কোন মামলা হয়নি। এখন মামলার আরজি নিয়ে কয়েক জন থানায় এসেছেন। আজ রাতেই মামলা রজু হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের তরফদপাড়া এলাকায় বাড়ির কাছাকাছি স্বপ্ন ভিলার সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গুরতর আহত মুরাদকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। খুলনায় পৌঁছালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনর লাশের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।