কে এম শাহীনুর রহমান:
সাতক্ষীরা তালার জেঠুয়া গ্রামে কেয়া খাতুন (১৫) একাধিক বিবাহিতা কন্যা কে দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে জেঠুয়া গ্রামের মেজবার ফকিরের মেয়ে। ভূক্তভোগী রাসেল ফকির ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে আবেদন করেও রেহায় পাচ্ছেন না। মামলা চলাকালীন সময়ে সে আবারও আরেক জনের সাথে পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলার নথি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রদত্ত নথি থেকে জানা যায়, কেয়া খাতুন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে মাদারীপুর জেলার কবিরাজপুর গ্রামের আবির মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়ার সাথে বিয়ে করেন। কিছু দিন ঘরসংসার করার পরে নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে ফিরে এসে আপন চাচাতো ভাই আজিবর ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির কে বিবাহের চাপ দেয়। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে আজিবর ফকির বাদি হয়ে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। সেখানে প্রতিপক্ষ হাজির না হলে ইউনিয়ন পরিষদ বাদির পক্ষে একতরফা রায় প্রদান করেন। এই রায়ের উপর ভিত্তি করে বাদি উপজেলা নির্বাহী বরাবরে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদির পক্ষে রায় প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে তালা থানায় আপোষ মিমাংশা করা হয়।
পরবর্তীতে মেয়ের মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৯(৪)(খ)২০০০ রাধায় একটি মিথ্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামী রাসেল ফকির দীর্ঘদিন হাজতবাস করেন। কারাগার থেকে বের হলে আবারও বিবাহের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে।
এরআগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজিবর ফকির, রাজিয়া বেগম, কেয়া খাতুন সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে ব্যাপক মারপিট করে আহত করেছিল। বিষয়টি নিয়ে সেসময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়েছিল।
ভূক্তভোগী আজিবর ফকির বলেন, আমার ভাই ভাবি ও মেয়ের অত্যাচারে প্রায় ১ বছর পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি কিন্তু কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। একাধিকবার বিবাহিত মেয়েকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমি রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। আমি শান্তিপূর্ণ মিমাংশার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বাড়াচ্ছি বলে জানান তিনি।
কেয়া ও তার মাতা রাজিয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।