মহাকাশে কয়েক ডজন স্কুইড পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বর্তমানে হাওয়াইয়ান ববটাইল স্কুইডগুলো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছে।
সোমবার (২১ জুন) স্পেস এক্সের ফ্যালকন রকেটে করে পৃথিবীর বাইরে যায় এসব স্কুইড। মহাকাশে দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের সময় নভোচারীদের দেহে কী ধরনের প্রভাব পড়ে তা জানতে এই পরীক্ষা করছে নাসা। এছাড়া মহাকাশে জীবাণুর সঙ্গে প্রাণীর সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবে এ গবেষণা।
হাওয়াইয়ের হোনোলুলু স্টার অ্যাডভাইটাইজার জানায়, হাওয়াই ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী গবেষক জেমি ফস্টার দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের স্বাস্থ্যগত উন্নতি ঘটাতে এই গবেষণাটি করছেন।
হাওয়াই ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্গারেট ম্যাকফ্যাক এনগাই বলেছিলেন, মহাকাশে যাওয়ার পর মানবদেহে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে তা জানা যাবে এই গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণাটির অংশ হিসেবে এসব বেবি স্কুইড মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, আগামী জুলাই মাসে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে এসব স্কুইড।
উল্লেখ্য, মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞানীদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মহাকাশে অভিযানের সময় নভোচারীদের দেহে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে থাকে। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, একজন নভোচারী ছয় মাস মহাকাশে থাকলে তার শরীরের মোট পেশির ৪০ শতাংশই ক্ষয় হয়ে যায়।