কপোতাক্ষ টাইমস ডেক্স : যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হত্যার ঘটনায় সাবেক এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রিতে বেআইনিভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে প্রসিকিউটররা নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি নিউজের।
দান্তে রাইট নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার পর কিম পটার নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তিনি এক লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান।
গত রবিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় পুলিশ কর্মকর্তারা দান্তে রাইটের গাড়ি থামান। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে নিশ্চিত হলে তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেন কর্মকর্তারা।
যদিও গ্রেপ্তার এড়াতে গাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েন দান্তে। তখন কিম পটার টেজারের (ইলেকট্রিক শক দেয়ার যন্ত্র) পরিবর্তে ‘ভুলক্রমে’ পিস্তল তুলে তাকে গুলি করে বসেন। তিনি বলছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা।
এ দিকে কিম পটারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দান্তে রাইটের পারিবারিক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন, নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ইচ্ছাকৃত এবং অবৈধভাবে ক্ষমতার ব্যবহার।
হত্যাকাণ্ডটির পর কিম পটার এবং পুলিশ প্রধান টিম গ্যানোন পদত্যাগ করেন। অপর দিকে দান্তে রাইটের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রুকলিন সেন্টারে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতেও কারফিউ অমান্য করেই রাস্তায় নেমে আসেন শত শত বিক্ষোভকারী। তারা পুলিশের সদর দফতরের কাছে জড়ো হন। মিনেসোটার ব্যুরো অব ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশন (বিসিএ) জানিয়েছে, কিম পটারকে বুধবার সকালে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এই হত্যাকাণ্ডের কারণে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হবে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় সৃষ্টি করা জর্জ ফ্লোয়েড হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরেই গুলি করা হয় দান্তেকে। এই ঘটনাও ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।